মোঃ আল আমিন মল্লিক, স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস হলো মাছ। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি অনুধাবন করেই স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে এক জনসভায় ঘোষণা দিয়েছিলেন- ‘মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ’। মৎস্য সেক্টরের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
মৎস্য খাতের বহুমুখী কর্মকান্ড-কে অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার এ সেক্টরের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯৩ সাল হতে সর্বপ্রথম জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের কার্যক্রম শুরু হলেও এর আগে ১৯৯৬ সাল হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নেতৃত্বে দেশব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণভাবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে।
সেই লক্ষ্যে বরগুনা জেলার বেতাগীতে আগামী ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত “জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ- ২০২১” উদযাপন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেসবিফ্রিং করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় বেতাগী উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বেতাগী প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. শামীম সিকদার, সহ-সভাপতি আকন্দ শফিকুল ইসলাম, ও মো. মহসীন খান,আঞ্চলিক বিষখালী পত্রিকার সম্পাদক আব্দুস সালাম সিদ্দিকী, দৈনিক গনকন্ঠ প্রতিনিধি মোহাম্মাদ শাহাদাত হোসেন, এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য মো. আবুল বাসার খান, এছাড়াও বক্তব্য দেন দৈনিক নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি মো. কামাল হোসেন খান, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলাম ইরান, দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি মো: হৃদয় হোসেন মুন্না,আমার সংবাদ প্রতিনিধি মো সুজন. বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও দৈনিক প্রতিদিন সংবাদ পত্রিকার মো. নিজাম উদ্দিন স্বাধীন
এ সময় উপকূলীয় এ জনপদের মৎস্য ক্ষেত্রের উন্নয়ন, সম্ভাবনা ও মৎস্য সপ্তাহের গৃহীত কার্যক্রম তুলে ধরা হয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট।
