নোমান সিকদার,রিপোর্টার ইসলামী উপদেশ
আপনারা সবাই বেরেলভীদের চিনেন, উদ্ভট জিকির, নাচানাচি ও সর্বপ্রকার শির্ক-বিদ'আতে লিপ্ত হিসেবে। তারা নিয়মিত মাহফিলে গান গায় এবং উদ্ভট সব শব্দ করে জিকির করে। সম্প্রতি হাসান আজহারী, জয়নাল আবেদীন নামক দেশে কিছু বেরেলভী বক্তা এভাবে জিকিরের বিরোধিতা করে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জন্ম দিয়েছে?
কিন্তু আপনারা কি জানেন? এই বিরোধিতার কারণ কী? কারণ হচ্ছে, তাদের প্রায় সবগুলো নাচ-গানের ভিডিওতে হাজার হাজার মানুষ নেতিবাচক কমেন্ট ও গালাগালি করে। তাদের এসব ভণ্ডামির কারণে দিন দিন জাতির কাছে তারা গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে ও হাসি এবং গালির পাত্র হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তারা এসব জিকিরের বিরোধিতা করছে, যেন মানুষ তাদের ভালো চোখে দেখে।
আবু সুফিয়ান আল কাদেরী, বাংলাদেশের কুখ্যাত এক বক্তা। যার বক্তব্য হলো - 'ফানাফিল্লাহ, বাকাবিল্লাহ হলে খোদার খোদা পায়ের নিচে এসে পড়ে'। তাছাড়া, সে ওলী আউলিয়া দ্বারা জগত পরিচালনার আকীদায় বিশ্বাসী। এই কুখ্যাত বিদআতি বক্তার সাথে হাসান আজহারীর খুব ভালো সখ্যতা আছে।
গিয়াসউদ্দিন তাহেরী, সারা বিশ্বে ভাইরাল একজন নিকৃষ্ট, ইসলাম ধ্বংসকারী গায়ক। তার সাথেও হাসান আজহারীর ভালো সখ্যতা আছে। ঢাকার শাহজাহানপুরে হাসান আজহারী 'গাউসুল আযম' নামক এক মসজিদে খুতবা প্রদান করে। সেখানে প্রতিবছর তাহেরীকে দাওয়াত দিয়ে আনা হয়।
আল্লাহর ৯৯ নামের মাঝে এক নাম তোমার রঙ্গিলা বলে গান গাওয়া ছেলেটিও আবু সুফিয়ানের সাথে এক স্টেজে মাহফিল করে।
বর্তমানে অনলাইনে মোটিভেশনাল কথা বলে জনপ্রিয়তা পাওয়া দুইজন সুন্নী নামধারী বক্তা হচ্ছে মোকাররম বারী এবং জয়নুল আবেদীন কাদেরী।
ভন্ড মোকাররম বারীর আকীদা হচ্ছে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি কবরে গিয়ে হাজির হয়, ভক্তদের উপকার করে।
ভন্ড জয়নুল আবেদীনের বক্তব্য হচ্ছে, যারা হজ্জ করতে পারবে না, তাদের টেনশন নেই, চট্টগ্রামের কোনো এক এলাকাকে হারাম শরীফ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সম্মানিত ভাই/ বোনেরা, এরা সবাই একই জলের মাছ। কাজেই, তাদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। তারা বিভ্রান্ত, পথভ্রষ্ট এবং দ্বীনকে ধ্বংসকারী। তারা যদি ২-৪ টা ভালো কথাও বলে তবুও তাদের থেকে দূরে থাকুন। কেননা, এই ভালোর পিছনে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর এজেন্ডা আছে।
আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তাতে কোন বিদ'আত সৃষ্টি করবে, তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতামণ্ডলী এবং সমস্ত মানুষের পক্ষ থেকে অভিশাপ বর্ষণ করা হবে। আল্লাহ তা'আলা ক্বিয়ামতের দিন তার পক্ষ থেকে কোন নফল ও ফরয ইবাদত কবুল করবেন না।
[আবুদাঊদ হা/৪৫৩০, সনদ সহীহ, ‘দিয়াত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১১]
এই বেরেলভীদের ব্যাপারে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের স্থায়ী কমিটির ফতোয়া হলো -
এমন লোকদের পিছনে নামাজ পড়া যবে না, কেউ যদি কোনো (মসজিদের) ইমামের আকীদা তাদের মত বলে জানে, তাহলে তার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। কারণ, (তাদের ব্যাপারে) তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ বৈশিষ্ট্য হলো কুফর, শিরক, বিদআত যা আল্লাহ তা'আলার তাওহীদের সাথে সাংঘর্ষিক, যা দিয়ে তিনি তাঁর রাসূলদের পাঠিয়েছেন ও কিতাব নাযিল করেছেন।
[ফতোয়া লাজনা দায়েমাহ, ২/৩৯৬-৩৯৮]
তাই এদের বিভ্রান্তি ও ভ্রষ্টতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সংগ্রহ করে পড়ুন, আল্লামা ইহসান ইলাহী যহীর (রহিমাহুল্লাহ) রচিত 'বেরেলভী মতবাদ' বইটি।
