মোঃ নোমান শিকদার, ইসলামিক রিপোর্টার
সমাজে প্রচলিত কতিপয় জাল হাদিসঃ-
১. আবু হানিফা আমার উম্মাতের প্রদীপ।
২. তোমরা আলিমের অনুসরণ করবে, কারণ তারা দুনিয়ায় প্রদীপ ও আখিরাতের বাতি।
৩. রাসূলুল্লাহ যখন কোনো হাজত -প্রয়োজনের ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর আঙটিতে সুতা বেঁধে নিতেন।
৪. নিয়ত বিশুদ্ধ কর এবং বিজন মরুভূমিতে বাস কর।
৫. আত্মতুষ্টি সকল রোগের মূল।
৭. (আল্লাহ বলেন )আমি আমার নিজের উপর শপথ করেছি যে, আহমদ ও মুহাম্মদ নামে নামের কাউকে জাহান্নামে প্রবেশ করবো না।
৮. আলিম বা তালিব ইলম যখন কোনো গ্রাম -মহল্লা নিয়ে গমন করেন তখন আল্লাহ সে গ্রাম বা মহল্লার গোরস্থানের আযাব ৪০ দিনের জন্য তুলে নেয়।
৯. মৃত ব্যক্তি ৭ দিন পর্যন্ত তার বাড়ির মানুষদের দেখতে পায়।
১০. আল্লাহ আশুরার দিনে আসমান -যমীন সৃষ্টি করেছেন।
১১. কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহর শত্রু যদিও সে দরবেশ হয়।
১২.যাবারজাদ পাথরের আঙটি ব্যবহার করা, কারণ এতে কঠিন বিহীন সহজতা রয়েছে।
১৩. দেশপ্রেম ঈমানের অংশ।
১৪. মসজিদের মধ্যে কথাবার্তা নেকি বা সওয়াব খেয়ে ফেলে.....।
১৫. নেককারদের নেককর্ম নৈকট্টপ্রাপ্তদের পাপ।
১৬. বিবাহিতের দু রাকাত অবিবাহিতের ৭০ রাকাত থেকে উত্তম।
১৭. মুমিনের লালা সুস্থতা বা রোগমুক্তি।
১৮. ছয়টি কর্ম বিস্মৃতি বা স্মৃতিহীনতা জন্ম দেয়। ইঁদুরের ঝুটা ভক্ষণ, জীবন্ত উঁকুন আগুনে ফেলে দেওয়া, বন্ধ পানিতে পেশাব করা, আঠা জাতীয় দ্রব্য (গাম )চেবানো, টক আপেল খাওয়া।
১৯. মুমিনের ওজুর অবশিষ্ট পান করার মধ্যে ৭০টি রোগের প্রতিকার।
২০. দিবসের সালাত বোবা (কারণ এতে কুরআন পাঠ শোনা যায় না )
২১. সাপ্তাহের প্রতিদিন ও রাতের সালাত বিষয়ক হাদিস... জুমুআর রাতে ১২ রাকাত সালাত ১০ বার করে সূরা ইখলাস।
২২. কৃপণের খাদ্য ব্যাধি এবং দানশিলের খাদ্য ওষুধ।
২৩. এক মুহূর্ত ইলম সন্ধান করা সারারাত সালাত আদায়ের চেয়ে উত্তম।
২৪.ইলম সন্ধান করা আল্লাহর নিকট সালাত,সিয়াম, হজ্জ ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ থেকে উত্তম।
২৫.তোমরা লবণ ব্যবহার করবে, কারণ তা ৭ টি রোগের প্রতিকার।
২৬. ইলমু বাতিন আমার ও আমার প্রিয়পাত্র ও অলিগণের মধ্যকার গোপন বিষয়। আমি তা তাদের অন্তরের মধ্যে প্রধান করি। কোনো নৈকট্টপ্রাপ্ত ফিরিশতা বা কোনো নবী -রাসূলও তা জানতে পারেন না।
২৭. আমার উম্মাতের আলিমগণ বনী ইসরাইলকে নবীগণের মতো।
২৮.দারিদ্র আমার গৌরব এবং আমি তারই অহংকার করি।
২৯. একজন আলিমের মাজলিসের উপস্থিত হওয়া এক হাজার রাকাত সালাত থেকে, এক হাজার হজ্জ এবং এক হাজার জিহাদ -যুদ্ধাবিধান থেকে উত্তম।
৩০. মুমিনের অন্তর (কালব )আল্লাহর গৃহ।
৩১. দানশীল ব্যক্তি আল্লাহর প্রিয়, যদিও সে পাপাচারী হয়। আর কৃপণ আল্লাহর শত্রু যদিও সে দরবেশ হয়।
৩২. তুমি না হলে আমি মহাকাশসমূহ (বিশ্ব )সৃষ্টি করতাম না।
৩৩. আমার আকাশ আর আমার যমীন আমাকে ধারণ করার প্রশস্ততা পায় নি, কিন্ত আমার মুমিন বান্দার অন্তর আমাকে ধারণের প্রশস্ততা পেয়েছে।
৩৪.জ্ঞানীদের কালি শহীদদের রক্তের থেকে অধিক মর্যাদাময়।
৩৫. যে ব্যক্তি মসজিদের মধ্যে দুনিয়াবী কথা বলবে আল্লাহ তার ৪০ বৎসরের আমল বিনষ্ট করে দিবেন।
৩৬. যে কোনো আলিমের কাছে বসল সে যেন একজন নবীর কাছে বসল।
৩৭. যে আলিমগণের সাথে সাক্ষাত করল। যে ব্যক্তি আলিমগণের সাথে হাত মেলাল সে যেন আমার সাথেই হাত মেলাল। যে ব্যক্তি আলিমগণের কাছে বসল সে যেন আমার সাথেই বসল। আর যে ব্যক্তি দুনিয়াতে আমার কাছে বসল সে কিয়ামতের দিনও আমার কাছেই বসবে।
৩৮. যে নিজেকে চিনল সে তার প্রতিপালককে চিনল।
৩৯. যে ব্যক্তি তার ভাইকে আল্লাহর কিতাবের একটি আয়াত শিক্ষা দিল সে তার মালিক হয়ে গেল।
৪১. যার সন্তান হলো এবং সে নামের বরকত লাভের উদ্দেশ্যে সন্তানের নাম মুহাম্মদ রাখল সে ব্যক্তি ও তার সন্তান জান্নাতী হবে।
৪২. যে ব্যক্তি আমাকে সফর মাস অতিক্রান্ত হওয়ার সুসংবাদ প্রদান করবে আমি তাকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করব।
৪৩. যে ব্যক্তি আযানের সময় কথা বলে তার ঈমান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪৪. আলিমের দোয়াতের এক ফোঁটা কালি আল্লাহর নিকট একশত শহীদের ঘামের থেকে বেশি প্রিয়।
৪৫. আলিমের নিদ্রা ইবাদত।
৪৬. আহারকারীর উপর কোনো সালাম নেই।
৪৭. মিরাজের রাত্রে রাসূলুল্লাহ যখন জুতা পরিহিত অবস্থায় আরশে পৌঁছালেন, তখন আরশ শান্ত হয়, এর আগে আরশ অস্থির ছিল...।
৪৮. আলী ও ফাতিমা হাসান-হুসাইনকে এক ফকীরকে দান করেছিলেন।
বই রেফারেন্সঃ হাদিসের নামে জালিয়াতি (পৃষ্ঠা ২৩৮-২৪০)
লেখক: ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিঃ)
Tags
ইসলামীক উপদেশ

