পান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন পাথরঘাটার কৃষকরা।


মোঃ তরিকুল ইসলাম জিসান,স্টাফ রিপোর্টার 

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় পান চাষাবাদে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও কৃষি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানা কারণে দিন দিন কমে যাচ্ছে পান চাষের পরিমাণ। কৃষকরা সরকারি বেসরকারি কোনো সাহায্য সহায়তা পাচ্ছেন না। একদিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, অপর দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সরকারি প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় পান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা।

Ads

উপজেলায় প্রায় এক হাজার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পান চাষে জড়িত রয়েছেন। এর মধ্যে কাকচিড়া ইউনিয়নে ছয় শতাধিক কৃষক রয়েছেন। এ পান স্থানীয়দের কাছে খুবই প্রিয়, এর চাহিদাও প্রচুর। উপকূলীয় এলাকায় পানের পরিকল্পিত চাষাবাদ ঘুরিয়ে দিতে পারে স্থানীয় বারই সম্প্রদায়ের ভাগ্যের চাকা। জাতীয় অর্থনীতিতেও রাখতে পারে ভূমিকা। সম্প্রতি অতি বৃষ্টিতে পানের বরজ পচে যাওয়ায় উপজেলার আট শতাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পাথরঘাটার বারই সম্প্রদায়ের কয়েক জন কৃষক পান চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পান। পর্যায়ক্রমে এ এলাকার কৃষকরা পান চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েন এবং সফল হন। তবে বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শ না পাওয়া তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

Ads

কাকচিড়া ইউনিয়নের কয়েক জন কৃষক বলেন, সরকার কৃষকদের জন্য সারা দেশে বিনা খরচে সার, বীজ ও কীটনাশক বিতরণ করলেও পাথরঘাটায় পান চাষিদের কপালে ১০০ গ্রাম সার-বীজ ও এক বোতল কীটনাশকও জোটেনি। কাকচিড়া ইউনিয়নে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকলেও কোনো দিন তাকে পানের ক্ষেতে দেখা যায়নি।

Ads

কৃষি উন্নয়নে নিয়োজিত কর্মকর্তারা যদি পান চাষে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে উৎসাহিত করতেন তাহলে কৃষকরা আগ্রহ হারাতেন না। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে অন্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকার তাদের সহায়তা করে কিন্তু পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে চাষিদের পাশে কেউ দাঁড়ায় না।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল জানান, পান চাষের ওপর কৃষি বিভাগের পাথরঘাটায় কোনো কার্যক্রম নেই। তবে কৃষকদের নানা সময় পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয় বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম