মোঃ আল আমিন মল্লিক, স্টাফ রিপোর্টার
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টায় মামলার বাদী ও সিনহার বড়বোন শারমিন ফেরদৌসকে জেরার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পুনরায় হাজির করা হয় মামলার আসামি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপসহ আরও ১৫ আসামিকে। ২৩ আগস্ট সোমবার সকালে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমদিনে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসকে জেরার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। তবে তার সাক্ষ্যগ্রহণ অসমাপ্ত থাকায় মঙ্গলবার আবার তাকে জেরার মধ্য দিয়েই দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। বলে জানান পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম
জানা যায়, তিন দিন ধরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ মামলার ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১৫ সাক্ষীকে সমন জারি করেন আদালত। প্রথম দিন তিনজন এবং দ্বিতীয় দিনে পাঁচজন সাক্ষীর হাজিরা নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী । সাক্ষীরা হলেন-শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত, টেকনাফের মিনাবাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, মো. ফিরোজ, মুহিব উল্লাহ ও হাফেজ মো. আমিন। আগামীকাল ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
এই মামলার অপর সাক্ষীরা হলেন- শামলাপুর এলাকার মো. আবদুল হামিদ, মো. ইউনুছ, ফিরোজ মাহমুদ, মহিবুল্লাহ, মো. আমিন, ও রামু সেনানিবাসের সার্জেন্ট মো. আইয়ুব আলী,মো. শওকত আলী এবং সিনহার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ডা.শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী ও ডা. রণধীর দেবনাথ।
উল্লেখ্য গত বছর ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের কাছে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত চৌকোস মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ওই বছরেরই ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ তার সাথে সহযোগি ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।।
