আগামীকাল থেকে শিতিল করা হচ্ছে লকডাউন। আজ দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যায় করোনায় মৃত্যু


নিজস্ব প্রতিবেদক 
দেশে আজ একক দিনের সর্বোচ্চ কোভিড -১৯ মৃত্যুর সংখ্যা দেখা গেলেও আগামীকাল থেকে মানুষের চলাচল ও গণপরিবহনে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে।

বাস, ট্রেন এবং লঞ্চের মতো গণপরিবহনকে সম্পূর্ণ ক্ষমতায় যাত্রী বহন করার অনুমতি দেওয়া হবে। শপিং মল, মার্কেট, দোকান এবং রেস্তোরাঁ খোলা থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সমস্ত সরকারি, বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু হবে। যাইহোক, যে কোনও পরিবহন বহরের মাত্র অর্ধেককে নির্দিষ্ট দিনে রাস্তায় চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে, যা ইতিমধ্যে পরিবহন মালিকদের বিরোধিতা করেছে। এদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, তারা আগামীকাল থেকে মূল ভাড়া পুনপ্রতিষ্ঠা করবে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে সরকার বাস ও লঞ্চের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে, যদি অপারেটররা যানবাহনের ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী বহন করে, যাতে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা অনুসরণ করা যায়।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) অনুসারে, আজ সকাল ৮ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড -১৯ থেকে দুইশো চৌষট্টি জন মারা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সংক্রমণের হার যখন ২৫ শতাংশের কাছাকাছি থাকে তখন শিথিল বিধিনিষেধ সংক্রমণের হার আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
 
 আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, অর্ধেক আসন খালি রেখে সকল রেস্তোরাঁ সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে। শপিং মল, মার্কেট, দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব কল -কারখানা আবার খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।

সব ক্ষেত্রেই, মাস্ক পরা এবং ডিজিএইচএস -এর জারি করা স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা অনুসরণ করা নিশ্চিত করতে হবে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, গণপরিবহন, বিভিন্ন অফিস, মার্কেটের নির্দেশিকা অনুসরণে অবহেলা পাওয়া গেলে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম