মোঃ নোমান শিকদার, ইসলামীক রিপোর্টার
যে ছেলে আপন, সে দু ঘণ্টা কথা শোনে তো চার ঘণ্টা কথা শোনেনা। ঠিক না বেঠিক ? যে ভাই আপন, সে ভাই দুই ঘণ্টা আপন আর দুই ঘণ্টা পর।
যে বাবা আপন, যে সবচেয়ে আপন!! মা আপন, সেও দেখা যাচ্ছে আরেক ভাইয়ের কথা শুনে পর হয়ে যায়। হয় না হয়না??
হাজেরীন! দুনিয়াতে কেউ ষোলো আনা আপন হয়না। আমাদের এই জীবনটা পরকে আপন করার, মানুষকে খুশি করার জন্য একটা সংগ্রাম। ছোটবেলায় বাবা-মাকে খুশি করার চেষ্টা করেছি, পারিনি। কত মারছে! ঠিক না বেঠিক?
বড় হয়ে বান্ধবীদের/বন্ধুদের খুশী করার চেষ্টা করেছি, থাকেনি। ঠিক না বেঠিক?? বিয়ে করে বউকে/স্বামীকে খুশী করার চেষ্টা করেছি ষোলো আনা কখনই হয়নি। ঠিক না বেঠিক?
কর্মক্ষেত্রে, জীবনে, সবজাগায় আমরা বারো আনা ব্যর্থ, যদি চার আনা সফল হইও। ঠিক না বেঠিক??
একজনই আছেন, যাকে আপন করলে তিনি কখনো পর হননা। তিনি কে? আল্লাহ্!!!!!
আল্লাহকে আপন করতে পারলে সবসময় আল্লাহকে সাথে পাবেন। যদি আল্লাহকে আপন করে নিতে পারেন, আপনার বিপদে-আপদে, কষ্টে-দুঃখে সবসময় মনে হবে আল্লাহ্ আপনার সাথেই রয়েছে।
যে বেদনা কারোর কাছে বলা যায়না, বউয়ের কাছে বলা যায়না, মায়ের কাছে বলা যায়না, যে আনন্দে কাউকে শরীক করা যায়না, যদি আল্লাহকে আপন করতে পারেন, সেই আনন্দে আল্লাহকে শরীক করতে পারবেন, সেই বেদনার কথা আল্লাহর কাছে বলে বুকটাকে হালকা করতে পারবেন। কথা কি বুঝতে পেরেছেন?
কাজেই ভাইয়েরা, আসেন না সবাই নিয়ত করি যে এত সহজ কাজ, আমরা নিয়ত করলাম, আল্লাহ্ আমার বাকী জীবন যতটুকু আছে, একদিন হোক আর একশো বছর হোক, আমি তোমার ওলি হওয়ার চেষ্টা করবো। আল্লাহ্ তাআলা সকলের নিয়ত কবুল করে নিন। আমিন!
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ্ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)
শ্রুতিলিখন: Revival of Sunnah
